অভিযান চালিয়ে যৌনকর্মীদের গ্রেফতার করা যাবে কি ? বিশদে জানাল হাইকোর্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।
যৌনকর্মী, এই কথাটি শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকে চলে যান, আবার কেউ বা একটু বাঁকা নজরে দেখেন। এই কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বেশির ভাগ জনই সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন না। নানান ধরনের কটুক্তির সম্মুখীন হন। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে যৌনকর্মীদের কাজকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি নানা নিয়মে শিথিলতা আনা হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, তাদেরকে বিনা কারণে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না । আবারো হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হল, যৌনপল্লীতে অভিযানের ক্ষেত্রে যৌনকর্মীদের পাকাপোক্ত কোন অপরাধের প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। মাদ্রাজ হাইকোর্ট রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যৌনপল্লিতে অভিযানের সময় যৌন কর্মীদের গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
আসলে উদয় কুমার নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল। যেখানে অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি একটি ম্যাসাজ সেন্টারে ছিলেন, আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন যৌনকর্মীরা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করে। উদয় কুমার নামক ওই ব্যক্তির পক্ষে রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
রায় দেওয়ার সময় মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এন সতীশ কুমার রায় জানিয়েছেন , যৌনপল্লি গুলিতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে না । শুধু তাই নয়, তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে না। যদিও তিনি পতিতালয় চালানোকে বেআইনি বলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, কোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় যৌনকর্মের সঙ্গে যুক্ত হন , তাহলে তিনি আইনত অপরাধী নন । তাকে আইনের অজুহাতে কোনরকম হেনস্তা করা যাবে না। তবে যদি কারোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অর্থাৎ বলপ্রয়োগ করে কিংবা প্রাপ্তবয়স্কের নিচে কাউকে এই পেশায় নিয়ে আসা হয় তাহলে তা অনৈতিক। সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার সময় দেখেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই, তাই তাকে মুক্ত করা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম