একেই বলে জেদ, ছেলের সাথে পরীক্ষায় বসলেন বাবা ! পাশের শিকে ছিঁড়ল কার ভাগ্যে ?

।। প্রথম কলকাতা ।।
শেখার আর পড়াশোনা করার যে কোন বয়স নেই, তা এর আগে বহুবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগেই নদীয়ার প্রদীপ হালদার প্রায় ২২ বারের চেষ্টায় ডাক্তারি পাশ করেন। ৫২ বছর বয়সে তিনি ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান। এবার মহারাষ্ট্র থেকে একই ধরনের ঘটনা উঠে এল। যদিও কাহিনীতে একটু টুইস্ট রয়েছে , তা হল বাবা আর ছেলে দুজনে একসাথেই বোর্ড পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু দশম শ্রেণির এই পরীক্ষায় ৪৩ বছর বয়সী বাবা পাশ হলেও, ছেলে পাশ করতে পারেননি।
এর আগেও শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কেরলের কাত্যায়নী আম্মাকে নিয়ে। যিনি ২০১৮ সালে প্রায় ৯৬ বছরে এসে পড়াশোনা করেন , তারপর পরীক্ষায় পাশ করেন। এবার পুনের ভাস্কর ওয়াঘমারে ৪৩ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসেন। প্রথম থেকেই তার পড়াশোনার প্রতি যথেষ্ট ভালোবাসা ছিল। কিন্তু ঘাড়ে সংসারের দায়িত্ব থাকায় অল্প বয়সে পড়াশুনা ছেড়ে রোজগার করতে শুরু করেন। মাত্র সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেই নিজের স্বপ্নকে মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন । তারপর অবশেষে প্রায় ৩০ বছর পর সেই সুযোগ আসে। ছোট ছেলে হয়ে যান সহপাঠী, একসাথেই বসেন পরীক্ষায়।
তবে তিনি এই পরীক্ষায় পাশ করে খুব একটা খুশি হচ্ছেন না । যেহেতু ছেলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি তাই তিনি ছেলের জন্য চিন্তিত। তিনি অনেক বেশি আনন্দিত হতেন যদি ছেলে পরীক্ষায় পাশ করতেন। কারণ তার ছেলে পড়াশোনার কাজে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছিল। অপরদিকে ছেলে অত্যন্ত খুশি তার বাবার পরীক্ষায় পাশের খবর শুনে। তিনিও চান তার বাবা আরো বেশি দূর পড়াশোনা করুক। দরকার পড়লে তিনি তার বাবাকে যথাসাধ্য সাহায্য করবেন। শুধু তাই নয়, পরের বার পরীক্ষায় যাতে তিনি ভালো ফল করতে পারেন সেই চেষ্টাই করবেন ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম