Pavlov Hospital: নজরদারি ছাড়াই বরাদ্দ ১৫ লক্ষ টাকা! একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে পাভলভ

।। প্রথম কলকাতা।।
রাজ্যের সরকারি মানসিক হাসপাতাল গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল পাভলভ হাসপাতাল । কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের এই হাসপাতাল পরিদর্শনের পর যে রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পেশ করা হয়, সেই রিপোর্টে জানা যায়, এই হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা ঠিকমতো হয় না । এমনকি বসবাসযোগ্য নয় হাসপাতালটি। কিন্তু তারপরও কোনরকম ভ্রুক্ষেপ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যার ফলে সুপারকে জবাবদিহি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । আবারও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে।
জানা যায়, হাসপাতালের বিভিন্ন খাতে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । কিন্তু সেখানে আবাসিকদের জন্য যা খরচ করা হয়েছে সে দিকে কোন রকম নজরদারি নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাহলে কী ভাবে এই বিল পাস করা হয়েছে? অভিযোগ ,হাসপাতালে ঠিকাদার এবং বিভাগীয় প্রধানরা মিলিত হয়ে এই বিল পাস করেছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে হাসপাতাল সুপারের কাছ থেকে। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই হাসপাতালে থাকা আবাসিকদের সঠিক চিকিৎসা হয় না। তাদের খাবারের পরিমাণ এবং গুণগত মান দুটোই কম।
আবাসিকদের রীতিমত ছেড়া পোশাকে রাখা হয়। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কোন যন্ত্রপাতি নেই এমনকি সঠিক ওষুধ পর্যন্ত মজুত থাকে না সেখানে। বছরে এক কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ হয় আবাসিকদের পোশাকের জন্য। সেই টাকা তাহলে কোথায় যায় ? রোগীদের খাবারের জন্য সরকারের তরফ থেকে টাকা আসছে নিয়মিত। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ এখানে রোগীদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে । একই রকম পরিস্থিতি হাসপাতালের আউটডোরের। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে , আউটডোরের একাধিক জালনা দরজা ভাঙা। যে শৌচাগার গুলি রয়েছে সেগুলি ব্যবহারের অযোগ্য। এমনকি পাভলভে ১৩ জন মহিলা আবাসিকদের দুটি ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলেও জানা যায়।
চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটছে সেখানকার আবাসিকদের । সরকারের তরফ থেকে যে টাকা আসছে তার বেশিরভাগ অংশই হাসপাতালে কাজে লাগছে না বরং হাসপাতালে কীভাবে রোগীরা থাকছেন, তাদের চিকিৎসা কীভাবে হচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া কীরকম বা তাদের সুবিধা ও অসুবিধা গুলির দিকে হাসপাতালে সুপারের কোনরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। এবার আগামী সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরে জবাব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে সুপারকে । বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা তাহলে যাচ্ছে কোথায় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম