বাংলাদেশ : গলা পর্যন্ত বন্যার জল, তার উপর ডাকাতের দৌরাত্ম্য ! ভয়ঙ্কর অবস্থা, পুরোটা জানলে কেঁদে ফেলবেন

।। প্রথম কলকাতা ।।
দোটানায় বাংলাদেশ , একদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে নিয়ে রমরমিয়ে চলছে প্রস্তুতি । দেশের মানুষ অপেক্ষা করছেন ২৫শে জুনের জন্য। অপরদিকে বাংলাদেশের এক অংশ ভেসে যাচ্ছে বন্যার জলে। সেখানে শুধু সাধারণ মানুষের হাহাকার । বন্যার জলে বহু এলাকার মানুষ নিজেদের সব কিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে এখন ছুটছেন। আর এসবের মাঝেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার গুলিতে। নেটওয়ার্ক নেই , বিদ্যুৎ সংযোগ নেই তাই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নানান ধরনের পোস্ট করা হচ্ছে ,যেখানে বারংবার বলা হচ্ছে ডাকাতির কথা।
কেউ পোস্ট করে লিখছেন , সুনামগঞ্জের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ডাকাতির কথা শোনা যাচ্ছে, অথচ যথাযথভাবে আইনি সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না । আবার কোথাও বা লেখা হয়েছে যে ডাকাতদল নৌকা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বহু মানুষ অন্ধকারের মধ্যে চোর চোর বলে চিৎকার করছেন কিন্তু সেই বিপদে কেউ সাহায্য করছেন না। জরুরী কোন নাম্বারে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। আবার অনেকে পোস্ট করে লিখেছেন যে সুনামগঞ্জ ময়নারপয়েন্টে তার আত্মীয়ের বাড়িতে ডাকাত আক্রমণ করেছে, যদি পাশাপাশি কেউ থাকেন তাহলে যেন তাকে একটু সাহায্য করেন। কিন্তু কাউকে তিনি পাচ্ছেন না। মনে হচ্ছে যেন তিনি অমানুষের দেশে বাস করছেন। আবার অনেকে ডাকাতির পোস্ট করে সতর্ক করছেন । কেউ বা লিখছেন তাদের চোখের সামনে ডাকাতি হয়েছে। এমনি থেকেই বন্যা হওয়া মানেই সেখানে থাকা মানুষগুলিকে প্রতি মুহূর্তে বিষাক্ত সাপ কিংবা পোকামাকড়দের সঙ্গে লড়াই করতে হয় । তার উপর আছে জল আর খাবারের তীব্র সংকট, আর এসবের মাঝেই কিছু মানুষ সুযোগ নিচ্ছেন।
সিলেট থেকে যেহেতু রেল, বিমান এবং সড়কপথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, তাই ডাকাত পড়ার গুজব ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। শুধুমাত্র নৌকা করেই সেখানে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন। সিলেটের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ, প্রায় ৬০% সম্পূর্ণ জলের নিচে । পরপর চার দিনের বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে আসা জল সিলেট জেলাকে চরম বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে। অপরদিকে বিদ্যুৎ টেলিযোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় সুনামগঞ্জ থেকে সেভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সীমিত আকারে জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হলেও অনেকেরই ফোন বন্ধ রয়েছে। মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে সিলেট আর সুনামগঞ্জ জেলায়।
তবে টানা চার দিনের পর যে জল জমে ছিল সেই জল ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে । রবিবার ভোর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এখনো পর্যন্ত সিলেটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেল স্টেশনের কাজ বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু হাসপাতালে আবার নিচের তলায় পর্যন্ত জল জমে যাওয়ায় সমস্ত রোগীদের উপরের তলায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। আর এসবের মাঝেই শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন ডাকাত পড়ার আতঙ্কে। অনেকেই বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত বন্যায় সেভাবে কোনো হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি , তবে প্রশাসনের তরফ থেকে অত্যন্ত সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম