যত কান্ড হাঁসখালিতে, পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

।। প্রথম কলকাতা ।।
দু’ মাস আগেই ধর্ষণকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়েছিল হাঁসখালি। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। এবার ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলো হাঁসখালী থানায়। পুত্রবধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খোদ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি।
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি হলেন প্রমথরঞ্জন বসু। তাঁর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর পুত্রবধু। তিনি অভিযোগ করেছেন, ১০ বছর হল তাঁর বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এখনো পনের জন্য নির্যাতন করা হয়। ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক সময় তিনি বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। তবে এখনো পর্যন্ত বিচ্ছেদ হয়নি। বিচ্ছেদের চেষ্টার কথা জানতে আরও অত্যাচার বাড়ে শশুর বাড়িতে। গত ১৭ ই জানুয়ারি বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। তবে, স্বামী অনেক বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান তাঁকে।
তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ২৩ সে মে দুপুর বেলায় তাঁর শ্বশুর প্রমথরঞ্জন বসু হঠাৎ করে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন ও তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি, চলে যান বাপের বাড়িতে। গত ১৫ ই জুন তাঁর স্বামী বাপের বাড়ি গিয়ে তাঁকে মারধোর ও গালিগালাজ করে এসেছেন। এরপর তিনি হাঁসখালী থানায় স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা প্রমথরঞ্জন বসু। তাঁর বক্তব্য, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। ডিভোর্সের মামলা চলছে। ওর পরিবার বিজেপি করে। আমার রাজনৈতিক জীবনকে কালিমালিপ্ত করতে এই চক্রান্ত” তবে, এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, “এই ঘটনা আবার স্পষ্ট করে দিচ্ছে, তৃণমূল নেতাদের হাতে মা, বোনেরা সুরক্ষিত নয়। সন্তানসমা বৌমার যদি এই অবস্থা হয়, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন।”
আবার, এ প্রসঙ্গে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় জানান, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তৃণমূলের নেতৃত্ব স্থানীয় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের দ্বারা এই ঘটনা বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে, তৃণমূলের এটাই রেওয়াজ। কারণে অকারণে বিজেপিকে দোষ দেওয়া তাঁদের স্বভাব।”
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম