ফাদার্স ডে : দামি উপহার নয়, হাতে সময় রাখুন ! এই সারপ্রাইজ গিফটে চমকে দিন বাবাকে

।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রতিটি সন্তানের স্বপ্নের কারিগর হলেন বাবা। সারাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফেরার সময় বাবা কখনোই ভোলেন না তাদের সন্তানের প্রয়োজন এবং পছন্দের জিনিস নিয়ে আসতে। সারাদিন পর বাড়ি ঢুকে সন্তানের মুখ দেখে বাবাদের কাজের ক্লান্তি একেবারে উধাও হয়ে যায় । অপরদিকে বাড়িতে অপেক্ষা করেন তার সন্তানরা, কখন বাবা অফিস থেকে ফিরবেন। শুধু তাই নয়, সন্তানের কাছে বাবা হলেন এক অন্যরকম হিরো , যিনি সব রকম অসাধ্য সাধন করতে পারেন। প্রতিবছর তাই বাবাদেরকে ঘিরে পালন করা হয় বিশেষ এই দিবস । সারা বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালের জুন মাসে পালিত হচ্ছে পিতৃ দিবস বা ফাদার্স ডে। মূলত প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহের রবিবার এই দিবস পালন করা হয়। সেক্ষেত্রে কখনো বা ১৯ তারিখ পরে আবার কখনো বা ২০ তারিখ।
এই বিশেষ দিবসের সূচনা পর্ব
এই দিবস প্রথমে শুরু হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯০৮ সালের ৫ ই জুলাই সর্বপ্রথম ফাদার্স ডে পালন করা হয়। প্রথমে এই দিবস চালু হয়েছিল শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় মাইনস দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এই দিবসের সূচনা হয় । পরবর্তীকালে এই দিবস আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যখন আমেরিকান সেনা বাহিনীর এক সদস্যের মেয়ে সোনোরা এই দিনটি পালন করেছিলেন। তারপর প্রতিবছর পাকাপোক্তভাবে এই দিবস পালনে সম্মতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নিক্সন। তখন জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পিতৃ দিবস পালনের কথা বলা হয়। তবে সারা বিশ্বজুড়ে একই দিনে এই বিশেষ দিবস পালন করা হয় না, দেশভেদে দিনেরও পার্থক্য রয়েছে। ভারতে ২০২২ সালে এই দিবস পালিত হচ্ছে জুন মাসের ১৯ তারিখে।
কীভাবে এই দিনটিকে স্পেশাল করে তুলবেন ?
অনেক সন্তানরাই রয়েছেন যারা এই দিনে বিশেষ ভাবে একটু সারপ্রাইজ দিতে চান তাদের বাবাকে। অনেকেই বিশেষ বার্তার মাধ্যমে তাদের বাবাদের কুর্নিশ জানিয়ে ধন্যবাদ জানান, আবার কেউ বা উপহারের মাধ্যমে বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একজন বাবা যে পরিমাণ ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে বড় করেন, হয়ত কোন সন্তান ঠিক সেই পরিমাণ ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারেন না। আসলে এক্ষেত্রে বাবার ভালোবাসা বিচারের মাপকাঠির ঊর্ধ্বে। তবে এই দিনটি একটু বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন। যদি আপনার বাবার বয়স চল্লিশের বেশি হয় তাহলে বর্তমান দিনে যেভাবে নানান ধরনের রোগের জটিলতা বাড়ছে, সেক্ষেত্রে নানান শারীরিক পরীক্ষা করাতে পারেন যেমনি সুগার , প্রেসার, হার্টের পরীক্ষা প্রভৃতি।
যদিও একথা মানতেই হবে বাবাদের জন্য প্রতিটি দিনের প্রতিটি মুহূর্তই বিশেষ। তবে এই একটি দিন অফিসে সমস্ত কাজের ফাঁকে বাবাদের জন্য দিনটি স্পেশাল করে দিলে ব্যাপারটা একেবারেই মন্দ হবে না। অফিস থেকে ফিরে এসে ঘরে বানিয়ে ফেললেন আপনার বাবার পছন্দের খাবার কিংবা আপনার বাবার পছন্দের একটা বই কিনে আনলেন। বাবাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ত্যাগ শব্দটি, তারা নিজেদের ইচ্ছার কোন গুরুত্বই দেন না । সব সময় পরিশ্রম করেন সন্তানদের জন্য। সেক্ষেত্রে তার কোনো শখের জিনিস কিনে এনে তাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এছাড়াও হঠাৎ করে অফিস থেকে কয়েক ঘন্টা আগে এসে বাবাকে নিয়ে বিকেলের দিকে একটু বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন, অথবা ড্রইংরুমে একসাথে বসে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে দেখবেন আপনার বাবার মন অনেকটা ফুরফুরে হয়ে গিয়েছে। বর্তমান দিনে ইঁদুর দৌড়ের কারণে অনেকেই বাবা-মাকে সময় দিতে পারেন না। যার কারণে শহর কিংবা মফস্বলের অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠছে বৃদ্ধাশ্রম। যদি একান্ত সেভাবে কিছু করতে না পারেন, তাহলে আপনার ব্যস্ত সময়ের কিছুটা সময় বাবাকে দিন । সেই সময় হাসি মজা হুল্লোড়ে তার সঙ্গে সময় কাটান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম