“স্ত্রী চাকরি করুক এটা আমি চাইছিলাম”, ভোল বদল রেণুর স্বামীর

।। প্রথম কলকাতা।।
স্ত্রী যাতে সরকারি চাকরি না করতে পারে তার জন্য টাকা দিয়ে দুষ্কৃতী ভাড়া করে আনা হয়েছিল, তারপর পরিকল্পনা মতো রেণুর ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী শের মহম্মদ। এবার শের মহম্মদের কথায় অন্য সুর , স্ত্রীর চাকরি নিয়ে নাকি তার কোন সমস্যাই ছিল না, শুধু ভয় ছিল স্ত্রী যাতে বিবাহ বহির্ভূত কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে না পড়ে । তার জন্য এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি শের মহম্মদের দাবি, নিজের এই কুকর্মের জন্য যথেষ্ট অনুতপ্ত তিনি। এই ঘটনায় ধৃত চার জনকে শনিবার কেতুগ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় আর সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়।
সূত্র মারফত খবর , ঘটনার দিন ঘুমন্ত রেণুর দুটি হাত চেপে ধরেছিলেন ভাড়াটে দুষ্কৃতী আশরাফ , তাঁর দু পা চেপে ধরেছিল হাবিবুর শেখ নামে আরও এক দুষ্কৃতী। আর তারপর প্রথমে একটি ভারী সাঁড়াশি দিয়ে স্বামী তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করে, এরপর ধারালো দায়ের এক কোপে নামিয়ে দেয় তাঁর কব্জি। যেদিন এই ঘটনাটি ঘটে সেই দিন ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল শের মহম্মদ মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদ। যদিও এই ঘটনার পরে সকলেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল হয় নি। পুলিশ চারজনকেই গ্রেফতার করে।
তবে এদিন অনুতাপের সুর শোনা গেল শের মহম্মদ এর কথায় । তিনি বলেন, ” ছোট্ট ঘটনার জন্য এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেললাম , ভেবে অনুশোচনা হচ্ছে । স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার জন্য আমি লড়েছি। স্ত্রী চাকরি করুক এটা আমি চাইছিলাম । কিন্তু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এই কাণ্ড ঘটেছে”। তবে রেণুর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের এই তত্ত্ব একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে রেণুর ভাই রিপণ। তিনি জানান , বর্তমানে নিজেকে বাঁচানোর জন্য এখন শের মহম্মদ এই ধরনের গল্প তৈরি করছে। রেণু যাতে চাকরিতে নিযুক্ত না হতে পারে তার জন্য তাঁর সার্টিফিকেটগুলো পর্যন্ত সরিয়ে রেখেছিল সে। আর তাছাড়া রেণুর সঙ্গে কারও কোন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবি তাঁর ভাইয়ের।
বর্তমানে রেনুকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁর বাড়িতে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে তবে নন নার্সিং বিভাগে। এমনকি সরকারের তরফ থেকে তার জন্য একটি কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি রেণুর লড়াই চালিয়ে যাবার শক্তি তাকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম