‘সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিংকে পাত্তা দিই না, সাহস থাকলে সামনে এসে বলুক’, অকপট জয়া আহসান

।। প্রথম কলকাতা ।।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং যেন একটু বেশিই গা সওয়া হয়ে গেছে অভিনেতা অভিনেত্রীদের। কারণ একটাই। প্রতিটা ধাপে পাল্টাচ্ছে মানুষের মন মানসিকতা। যেভাবে স্বাধীনচেতা মনোভাব বিকাশ পাচ্ছে, তাতে কটুকথায় কান দেওয়াকে পাশ কাটনোকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন সকলে। সেই তালিকায় রয়েছেন ওপার বাংলা তথা এপার বাংলার অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সম্প্রতি আসন্ন ছবি ‘ঝরা পালক’ এর প্রচার সারতে কলকাতাতেই রয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নানান প্রশ্নের মাঝে উঠে আসে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ট্রোলিং প্রসঙ্গ। বর্তমানে তারকাদের নানান বিষয় নিয়ে ট্রোল করা নতুন কিছু নয়। জয়ার সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে? সোজাসাপটা উত্তরে জয়া জানান, এখন আর কিছু মনে হয়না। পাত্তাও দি না খুব একটা। যারা ট্রোলিং করছে তারা নিজেদের ভেতরের নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ করছে। একই সাথে জয়ার কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগে সাতপাচ না ভেবে যখন তখন আড়ালে থেকে কাউকে কিছু বলে দেওয়াই যায়। কিন্তু সামনে এসে আঙ্গুল উঁচিয়ে বলতে সাহস লাগে। সেটা কতজন পারেন? যদি সাহস থাকে তাহলে সামনে এসে জানান, আমি মেনে নেবো একজন দর্শক বললে। লুকিয়ে থেকে তো অনেক কিছুই বলা যায়। সেগুলো মূল্যহীন।’
প্রসঙ্গত, সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত আসন্ন ছবিতে জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্যপ্রভার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। সেখানেই জীবনানন্দ দাসের সাথে তাঁর পরিচয় ঠিক কিভাবে জানতে চাইলে জয়া জানান, সকলের মতো ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ের মধ্যে দিয়েই তাঁর চেনা কবিকে। একই সাথে যেহেতু বাংলার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে কবির জীবন তাই সবটাই খুব আত্মিক।
উল্লেখ্য তাঁর আসন্ন ছবিতে রয়েছে শিল্পীসত্ত্বা আর সাংসারিক জীবনের দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্ব কী বাস্তব জীবনেও রয়েছে নায়িকা জয়া এবং বাড়ির মেয়ে জয়ার মধ্যে? উত্তরে জয়া জনান, “আমি যখন বাড়িতে থাকি বাড়ির মতো, কাজ করতে আসলে আলাদা একটা অবয়ব। দুটোকে মিশিয়ে ফেলি না আমি। দুটোর আকাশ-পাতাল তফাৎ। আমি ভীষণ সাধারণ জীবন যাপন করি, সাধারণ থাকতে ভালোবাসি। নায়িকাদের জীবন যাপন কেমন হয় আমি ঠিক জানি না। যতটা সাধারণ থাকা যায় ততটাতেই আমার স্বস্তি।’
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম