অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে উত্তাল বিহার তেলেঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্য, আগুন লাগানো হল ট্রেনে

।।প্রথম কলকাতা।।
অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে বিক্ষোভ অব্যাহত। উত্তাল বিহার, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা সহ একাধিক জায়গা। ট্রেন চলাচল অবরুদ্ধ। ট্রেনের বগিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেনু দেবীর বেতিয়ার বাড়িকেও নিশানা করেছে। সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, হামলার সময় পাটনায় ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আক্রমণের শিকার বিহার বিজেপির সভাপতি এবং পশ্চিম চম্পারন সাংসদ ডঃ সঞ্জয় জয়ওয়ালের বাড়িও।
শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তাল বিহার। লক্ষমিনিয়া রেল স্টেশনে অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় রেলওয়ে ট্র্যাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেগুসরাই স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে। আরা জেলার কুহাদিয়া স্টেশনের চিত্রটাও একইরকম। ঔরঙ্গাবাদে হাজারের উপর বিক্ষোভকারীরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী নেমেছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৩৮টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বিহারে।
এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় রাস্তায় ক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্ররা। এরপরেই অনেকেই রেল ট্র্যাক আটকে বসে পরে। একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বিক্ষোভকারীরা ২ ঘণ্টা ধরে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ চালায়।
হরিয়ানাতে আগে থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে হিংসার পূর্বাভাস ছিল। ফলে হরিয়ানা সরকার ফরিদাবাদ জেলার বল্লবগড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলাতেও অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভ হয়। ট্রেনে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
অগ্নিগর্ভ তেলেঙ্গানাও। অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ক্রমশ হিংসার আকার ধারণ করেছে। সেকেন্দ্রাবাদে তাণ্ডব চলে। পুলিশের দাবি, লাঠি, পাথর নিয়ে স্টেশনের দুটি প্ল্যাটফর্মে হুড়মুড়িয়ে একদল উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ে। তারা স্টেশনের বিভিন্ন দোকান , অফিসে ভাঙচুর চালায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে গুলি চালায় পুলিশ। এতে নিহত ১ জন। বেশ কয়েকজন আহত। হামলায় দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ের প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি অনুমান করা হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম