কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হাতে জাস্ট ৫ মিনিট সময় ! কীভাবে বাঁচাবেন রোগীকে ? দেখুন ভিডিও

।। প্রথম কলকাতা ।।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিংবা হার্ট অ্যাটাকের কারণে প্রতিনিয়ত বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে । কিন্তু অনেকেই হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, এই দুটি বিষয়কে এক সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন । কিন্তু দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। ড. কুনাল সরকার তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যেখানে ড. অর্পণ চক্রবর্তী এবং ড. কস্তুরী বন্দ্যোপাধ্যায় খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন কীভাবে কোন ব্যক্তি যখন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দ্বারা আক্রান্ত হবে তাকে কীভাবে সুস্থ করা যায়। মূলত কোন ব্যক্তির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে সেক্ষেত্রে তাকে বাঁচানো অত্যন্ত মুশকিল । হাতে থাকে মাত্র কয়েক মিনিট সময় । সেই সময়ে যথাযথভাবে কাজে লাগালে রোগীকে সুস্থ করা যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে একেবারেই সময় পাওয়া যায় না। বহু ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু ঘটে। আসলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে হৃদপিণ্ডের স্পন্দন হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে চিকিৎসকরাও রোগীকে দেখার সময় পান না। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে রোগীর ক্ষেত্রে প্রায় ৪৫ থেকে এক ঘণ্টার মতো সময় থাকে। তার মধ্যে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীকে সুস্থ করা যায়।
ড. অর্পণ চক্রবর্তীর মতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে। শপিং মল হতে পারে, স্কুল হতে পারে, অফিস হতে পারে, রাস্তা হতে পারে, কিংবা ট্রেনেও হতে পারে । তবে সেখান থেকে রোগীকে উদ্ধার করার কিছু সহজ উপায় রয়েছে যাকে বলা হয় CPR। এটি ততক্ষণ করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় ।
প্রথমে আপনার কাছে রয়েছে দুটি অপশন । প্রথমে দেখতে হবে রোগী রেসপন্স করেছে কিনা। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে দুটি পরিস্থিতি তৈরি হয় । চোখের সামনে একজনের অলরেডি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, কিংবা আগের থেকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে তিনি পড়ে রয়েছেন। এক্ষেত্রে যথাযথ বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে COLS ( Compression Only Life Support ) ফলো করতে হবে।
প্রথমে দেখে নেবেন যে আপনি নিজে সেখানে নিরাপদ কিনা । তারপরে দেখবেন আপনার সামনে অসুস্থ ব্যক্তি নিশ্বাস নিচ্ছেন কিনা কিংবা কোনো রেসপন্স করছে কিনা । যদি দেখেন কোন কথা বলছে না, নড়াচড়া করছে না, কিংবা অস্বাভাবিক নিশ্বাস নিচ্ছেন যাকে বাংলায় বলা হয় খাবি খাওয়া। তাহলে দ্রুত কাছের অন্য কাউকে ডেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলুন। তারপর মুহূর্তের মধ্যে দেরি না করে আপনার দুটো হাতের আঙুল লক করে তালুর হিল দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির বুকে ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত গুনে চাপ দিতে থাকুন। দেখবেন যেন আঙুল বুকে স্পর্শ না করে। এটি মূলত একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরপর করা সম্ভব নয় তাই একজন শেষ হলে অপরজনকে একই কাজ করতে বলুন। যতক্ষণ না চিকিৎসকরা সেখানে এসে পৌঁছান কিংবা অ্যাম্বুলেন্স আসে ততক্ষণ পর্যন্ত এই কাজটি করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে এই কাজটি করলে দ্রুত রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার অনেকাংশে সম্ভাবনা থাকে। প্রতিবেদনের শেষেই সেই ভিডিও লিঙ্কটি দেওয়া রয়েছে, নিজেই ভালো করে একবার দেখে নিন । বর্তমান দিনে COLS ট্রেনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম