Kolkata: রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা, প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

।। প্রথম কলকাতা।।
রাজ্যে শাসক দলের মধ্যে মতবিরোধের ফলে একাধিক জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে । যার জেরে বারবার অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। গতকাল রাতে ফের তৃণমূলের কিছু কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় অপর গোষ্ঠী তৃণমূল কর্মীরা। তারপর তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয় । বর্তমানে যদিও অভিযুক্ত প্রায় কুড়ি জন দুষ্কৃতী পলাতক। ঘটনাটি সল্টলেকের ত্রিনাথ পল্লী এলাকার। সেখানকার প্রাক্তন পৌরপিতা প্রবীর সর্দার এবং এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে সব্যসাচী দত্তের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
আহত কর্মীরা জানান, গতকাল রাতে বিধান নগর পৌরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত এবং এলাকার পৌরমাতা চামেলী নস্করের অনুগামীরা এসে চড়াও হয় এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী সুজিত বসু এবং প্রাক্তন পৌরপিতা প্রবীর সর্দারের অনুগামীদের বাড়িতে। ঘর থেকে বের করে এনে মারধর করা হয় । যার ফলে আহত হন ওই তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা বিধাননগর পৌরনিগমের নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসে সব্যসাচী দত্তের । সঙ্গে আর তারপর এলাকার একটি তৃণমূলের কার্যালয় দখল করে তাঁরা।
সেই কার্যালয় দখলের ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছিল সুজিত বসু এবং প্রবীর সর্দারের অনুগামীরা। যার জেরে এই ধরনের ঘটনা বলে অনুমান তাদের। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই এলাকার পৌরমাতা চামেলী নস্করের দাবি, এই এলাকায় কোন রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। যারা এধরনের কাজ করেছে তাঁরা প্রত্যেকেই সমাজবিরোধী। তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগসূত্র নেই । জানা যায় এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিধান নগর দক্ষিণ থানায়। ঘটনায় আক্রান্তরা হলেন সুজিত অধিকারী ,সন্তু মন্ডল এবং জয়ন্ত দাস। এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুজয় দাসকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাকি দুষ্কৃতীদের এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে নি বলেই জানা যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম