কয়েক দিনে এক লাফে বাড়ল মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা ! উপকৃত হচ্ছেন দুই দেশের মানুষ

।। প্রথম কলকাতা ।।
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই অনেকাংশে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেসের। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগ আরো সহজ হয়ে উঠেছে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে। অতিমারির কারণে প্রায় দুই বছর ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ২০২২এর মে মাসের ২৯ তারিখ থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস চালু করা হয় । স্বাভাবিকভাবেই বহুদিনের কাঙ্খিত এবং আরামদায়ক এই যাত্রার সুবিধা পেয়ে বহু মানুষ খুশি। উপরন্তু জুন মাসের ১ তারিখ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার মধ্যে চালু হয় মিতালী এক্সপ্রেস।
২০২০ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে করোনা সংক্রমনের কারণে মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ঠিক তার এক বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। তারপর তার চাকা গড়ায় ২০২২ এর জুনে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বহু যাত্রী রেলপথের এই আরামদায়ক যাত্রাকে বেছে নিচ্ছেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে যতদিন যাবে যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়তে থাকবে ।
মৈত্রী এক্সপ্রেস প্রথম দিন মাত্র ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সেই সংখ্যা এখন এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ জনে। অপরদিকে বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে খুলনার দিকে রওনা দিয়ে ছিল মাত্র ১৮ জন যাত্রী নিয়ে , এখন বন্ধন এক্সপ্রেসে যাতায়াত করেছেন প্রায় ৮০ জন যাত্রী। ইতিমধ্যেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০৭ জনের। কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস রওনা দেয় সোম , বুধ এবং শুক্রবার । অপরদিকে কলকাতা থেকে খুলনার দিকে বন্ধন এক্সপ্রেস রওনা দেয় রবিবার এবং বৃহস্পতিবার। দুটি এক্সপ্রেসেই প্রায় ৪৫০ এর বেশি আসন রয়েছে। দুটি ট্রেনের ক্ষেত্রেই দুই শ্রেণির টিকিট পাবেন। একটি হল চেয়ার কোচ , অপরটি হল ফার্স্ট ক্লাস। টিকিট পাওয়া যাবে কলকাতার পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের আন্তর্জাতিক টিকিট কাউন্টার থেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম