পরিবার হল খুশির রসদ, পাবেন মানসিক শান্তি ! জানুন আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের গুরুত্ব

।। প্রথম কলকাতা ।।
একজন ব্যক্তির সমাজে সুস্থভাবে বসবাস করা এবং একজন আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে পরিবারের। পরিবার ছাড়া একজন ব্যক্তির জীবনের অনেকটা অংশই শূন্যতায় ভরা। একটি শিশুর মানসিক তথা সামগ্রিক বিকাশের জন্য পরিবারের অবদান সর্বাধিক। প্রতিবছর পরিবারের গুরুত্ব এবং পরিবার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মে মাসের ১৫ তারিখে বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। প্রতি বছরই এই দিবসের একটি করে বিশেষ থিম রাখা হয়।
২০২২ সালে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের থিমের নাম রাখা হয়েছে ‘পরিবার ও নগরায়ন’ । পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং প্রতিষ্ঠা করতে এই দিবসটি পালিত হয়। পরিবার হল সমাজের একক এবং সমাজ হল দেশের একক। আর দেশ হল একটি পরিবার।
১৯৮৯ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, ৪৪/৮৩ রেজুলেশন পেশের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবার দিবস উদযাপনের ঘোষণা করে। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ১৫ই মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের প্রস্তাব ও সূচনা করার জন্য রেজুলেশন নম্বর (A/RES/47/237) জারি করে। আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস প্রথম পালিত হয় ১৯৯৬ সালে।
কেন পালন করা হয় ?
আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালন করা হয় শুধুমাত্র পরিবারের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। পরিবারের গুরুত্ব এবং এর উপযোগিতা প্রকাশের লক্ষ্যে এই দিনটি পালিত হয়। ইতিহাস, উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব দেখানোর জন্য এই দিনটি শুরু হয়েছিল। প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতায় যৌথ পরিবার ছিল। নগরায়নের কারণে এখন যৌথ পরিবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধু গ্রামেই দেখা যায়। নগরায়ন ও শহরের বৈরিতা, ভিড় আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিবারকে ভেঙে দিয়েছে।
পরিবারকে সহায়তা প্রদানের বিশেষত্ব যৌথ পরিবারেই রয়েছে। ভারতের বহু মানুষ নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির দিকে পা বাড়িয়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপে এখনো যৌথ পরিবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবারের ঐক্যই এর শক্তির লক্ষণ, কিন্তু এখন পরিবারগুলি ভেঙে যেতে শুরু করেছে। যৌথ পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হয়। যৌথ পরিবারে রোগীর পরিচর্যা, খাবার ও যথাযথ ব্যবস্থা পরিবারের সদস্যরা করে থাকেন। পরিবারে ঐক্য থাকলে কারোর উপর কোনো ধরনের দুঃখ-কষ্টের প্রভাব পড়ে না এবং তার সমাধানও সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসে। পরিবার জীবনের ক্ষুদ্রতম চাহিদাগুলি বোঝে এবং পূরণ করে। পরিবার জীবনের প্রাথমিক বিদ্যালয়। জীবনের সব ধরনের সমস্যা পরিবারের সাথে শেয়ার করা যায় এবং তাদের সমাধান খুঁজে পেতে খুব একটা সময় লাগে না। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে হাজারো সমস্যা আছে। বিবাহিত জীবন অনেকক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। শিশুদের ভবিষ্যৎও কিছুটা অনিশ্চয়তার গর্তে ডুবে যায়।
করোনা সময়ের লকডাউন অনেক ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের সাথে সংযুক্ত করেছিল। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের দিনটিতে নয়, সর্বদা পরিবারের সাথে সময় কাটানো উচিত। পরিবারকে সময় দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের অনুভূতি বোঝা, তাদের সমস্যার সমাধান করা প্রভৃতি বিষয় গুলির দিকে খেয়াল রাখা দরকার। পরিবার একটি বড় সম্পদ । যত সংকটই হোক, সবার আগে পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ান। পরিবারে যদি পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি থাকে তাহলে কোনো প্রকার জটিলতা তৈরি হয় না। যৌথ পরিবারে মানসিক সমস্যা অনেকাংশে কম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম