কুমারগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে শুধু খুনের তত্ত্ব মানতে নারাজ BJP নেতৃত্বরা, কাঠগড়ায় পুলিশ

।। প্রথম কলকাতা।।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের আদিবাসী মহিলার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছিল ওই আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁর সৎ ভাইকে। তবে পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি । কাজেই এই হত্যাকান্ড শুধুমাত্র জমি বা টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদ কে কেন্দ্র করে। কিন্তু পুলিশের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ জেলা বিজেপির এসসি এসটি সেলের দুই নেতৃত্ব।
শনিবার বালুরঘাট শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসসিএসটি সেলের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয় । আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদার হবিবপুর বিধানসভার বিধায়ক জুয়েল মুর্মু এবং আরও এক বিধায়ক বুধরাই টুডু। এদিন মালদার হবিবপুর এর বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটির আসল কারণ যাতে বেড়িয়ে না আসে তাই ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ওই মৃতার পরিবারকে চাপ দিয়ে পুলিশ দেহ সৎকার করার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি তাদের দাবি, পুলিশ এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে যাকে গ্রেপ্তার করেছে সে নেহাতই নাবালক।
তাঁর পক্ষে শুধুমাত্র সামান্য টাকা পয়সার জন্য একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাকে খুন করে ফেলার মতন সাহস দেখানো প্রায় অসম্ভব বা যদি খুন করতেই হতো তাহলে বাড়ি থেকে এত দূরে নিয়ে গিয়ে খুন করার কোন রকম যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি তা্ঁরা । এছাড়াও এদিন তাকে বলতে শোনা যায় ওই আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ যেভাবে পড়ে থাকতে দেখেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা তা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় যারা আসল দোষী তাদেরকে আড়াল করতে এক নাবালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ মিথ্যে অভিযোগে।
ওই মহিলার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তিনি ধর্ষিত নন বলেই জানা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে তাকে বলতে শোনা যায়, বর্তমানে রাজ্যে যে শাসক দল রয়েছে সেই সরকারের আমলে অনেক সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অনেককিছুই আসতে পারে। তা যে সম্পূর্ণরূপে সত্যি হবে তাঁর কোনো ভিত্তি নেই । কাজেই এই ঘটনায় পুলিশের সঠিক তদন্ত করা উচিত বলে দাবি জানান তিনি। আর যদি তদন্ত সঠিকভাবে না হয় সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। এমনটাই জানান তিনি আজকের সাংবাদিক বৈঠকে। যদিও বিজেপি বিধায়কের এই দাবি শুনে জেলা তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, এই ঘটনায় যে দোষী সে শাস্তি পেয়েছে । পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে । এরপর বিজেপির নোংরা রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের অভিযোগ তুলছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম