বিরিয়ানি আর চারাগাছ মিলিয়ে ৫ লক্ষ! হাসপাতালের বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ রোগীকল্যাণ সমিতির

।। প্রথম কলকাতা।।
একটি সরকারি হাসপাতাল আর সেই হাসপাতলে কোটি টাকার ভুয়ো বিল জমা করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতালে । সেখানে বর্তমানে ৮১ টি বিল চিহ্নিত করা হয়েছে । যেখানে মোট মিলিয়ে টাকার অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে প্রায় এক কোটি। আর এই বিল রোগী কল্যান সমিতির সদস্যদের নজরে আসতে রীতিমতো হতবাক তাঁরা। শুধুমাত্র হসপিটালের জন্য চারাগাছ কিংবা খাবার ,ওষুধ বা আসবাবপত্র মিলিয়ে এত টাকা বিল আসা কখনই সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা এই বিলগুলি যাচাই করতে একটি বৈঠক ডাকেন। আর তারপর সেই বৈঠকে তাঁরা জানান যে ভুয়ো বিল জমাকারী অভিযুক্ত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। ওই বিল গুলির মধ্যে দেখা গিয়েছে ১৯ দিনে বিরিয়ানির বিল এসেছে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৬৮০ টাকার কাছাকাছি । আর ওই হাসপাতালে বাগানের জন্য চারাগাছ কেনা হয় ২ লক্ষ টাকার! এমনই অদ্ভুতুড়ে বিল দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রীতিমতো।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ঠিকাদাররা বিলে গরমিল করেছেন। এমনকি বিলে অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে রোগী কল্যান সমিতির সদস্যদের তরফ থেকে। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে এই ধরনের গরমিলের ঘটনা যদি দ্বিতীয়বার ঘটে তবে ওই ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । প্রয়োজনে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রোগী কল্যাণ সমিতি। কিন্তু এই ঘটনায় ঠিকাদাররা তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন।
তাদের দাবি, যদি ঠিকাদাররা ভুয়ো বিল দিয়েই থাকেন তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন তাতে সই করলেন? আর সই করার আগে দেখে নিলেন না কেন? শুধু খাবার বা চারা গাছ নয় হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের টাকা এখনও পর্যন্ত ঠিকাদারের পাওনা রয়েছে বলে দাবি তোলেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে বর্তমান সুপার জানান, সব বিলগুলি মিলিয়ে প্রায় এক কোটির কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে টাকার অঙ্ক। একই দিনে হয়ত একই গাড়ি দু জায়গায় গিয়েছে এমন উল্লেখ রয়েছে বিলে । অথবা যেদিন অর্ডার করা হয়েছে তার আগেই ওয়ার্ক ডান হয়ে গিয়েছে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার বিলের জেরক্স দেওয়া হয়েছে। কাজেই এই দুর্নীতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হয়েছে নাকি ঠিকাদারদের গরমিলের জন্য হয়েছে তা খতিয়ে বের করতে অবশ্যই বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানালেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম