অনলাইন জুয়ায় খুইয়েছিলেন বেতন, কাশীপুর কাণ্ডে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার তত্ত্ব

।। প্রথম কলকাতা।।
কাশীপুরে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে বেশ শোরগোল পড়ে ছিল রাজ্য রাজনীতিতে। প্রথমদিকে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছিল অর্জুনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূলের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় আত্মহত্যা করে অর্জুন। অন্যদিকে তাঁর ময়নাতদন্তের পর জামা, প্যান্ট ,জুতো এবং অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়নি আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল এর তরফ থেকে। তা হাইকোর্টের জানানো হয়েছিল। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অর্জুন চৌরাসিয়ার সমস্ত সামগ্রী আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল তদন্তকারী অফিসারদের হাতে তুলে দেয় বলে জানা যায়।
শনিবার কাশীপুর এলাকায় অর্জুন চৌরাসিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁরা জানতে পারেন যে, অর্জুন সম্প্রতি অনলাইন জুয়ার নেশায় মেতেছিল । তা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে যে বেতন পাওয়া প্রায় সব টাকাই জুয়ায় খুইয়ে দিয়ে কি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অর্জু?ন কারণ জানা গিয়েছে, যেদিন এ ঘটনা ঘটে তাঁর আগের দিন রাতে কারখানা থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। ওইদিনই কারখানায় বেতন পেয়েছিলেন ১১ হাজার ১০০ টাকা। তবে অনলাইন জুয়ায় সেই টাকা লাগানোর ফলে শেষ হয়ে যায় বেতনের বেশিরভাগ অংশ । যার ফলে বাড়িতে কোন টাকা দিতে পারেননি তিনি।
এরপরই তাঁর ঝুলন্ত দেহের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মাত্র ৫০০ টাকা। বর্তমানে পুলিশ এই তথ্যগুলি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন, যাচাই করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। তাহলে কি সত্যিই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অর্জুন চৌরাসিয়া ?যদিও তার বন্ধু মহল থেকে জানা গিয়েছিল যে বহুবার বারণ করা সত্ত্বেও এই নেশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্জুন। এমনকি শুধুমাত্র অনলাইন জুয়া খেলার জন্য লক্ষাধিক টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল সে। আর সেই ঋণ শোধের চাপ বাড়ির উপরে এসে পড়েছিল। তাই কয়েক মাস ধরে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল বলেও জানতে পেরেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যেদিন এই ঘটনা ঘটে তার আগের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এসে টিফিন বক্স রেখে একটি গামছা সাথে নিয়ে বেরিয়ে যায় অর্জুন। আর তারপরেই তাঁর মৃতদেহ সকালে উদ্ধার করা হয় ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে। বর্তমানে এই ঘটনা সম্পর্কিত যে সমস্ত তথ্য পুলিশের হাতে উঠে এসেছে তাঁরা সেই সব তথ্য যাচাই করে মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম