প্রেমিকার দাদুর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা উঠছে প্রশ্ন

।। প্রথম কলকাতা।।
প্রেমিকার দাদুর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ। মৃত প্রেমিকের হতে তখনও ধরে রাখা সিঁদুর কৌটো ও কানে রয়েছে ইয়ারফোন। আত্মহত্যা নাকি খুন ! এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এমনই চাঞ্চল্যপূর্ণ ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের নারিচা গ্ৰামে ঘটেছে। জানা যায়, মৃতের নাম কার্তিক দলুই। বয়স ২২ বছর। কার্তিক দলুই বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের গোঁসাইগ্ৰামের বাসিন্দা।
কার্তিকের পরিবার সূত্রে খবর, কার্তিকের সঙ্গে খণ্ডঘোষের নারিচা গ্ৰামের এক কিশোরীর বছরখানেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নারিচা গ্ৰামেই কার্তিকের মামার বাড়ি। জানা যায়, সেখানে যাতায়াতের সূত্রেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এমনকি ফোনেও দু’জনের যোগাযোগ ছিল বেশ ভালো। সম্প্রতি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেন যুবক। ঘটনার আগের দিন কাজের নাম করে বাড়ি থেকে বের হলেও,বাড়ি ফেরেনি সে । পরিবারের লোকজন-সহ প্রতিবেশীরা ফোন করেও, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পড়ে জানা যায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ।
পরবর্তীতে জানা যায়, পাত্রসায়ের না ফিরে সে সোজা চলে প্রেমিকার বাড়ি নারিচায়তে । এরপরই প্রেমিকার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে প্রেমিকার দাদুর বাড়ির সামনে একটি নারকেল গাছে নাইলনের দড়িতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ ।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, তখনও যুবকের কানে ইয়ারফোন লাগানো ছিল এবং হতে ছিল একটি সিঁদুর কৌটো। এছাড়াও জামা কাপড়ের ব্যাগও উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে মৃতের আত্মীয় সুজিত খাঁড়া বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিল কার্তিক। শুক্রবার দুর্গাপুরে কাজের জায়গা থেকে বেরোলেও বাড়ি ফেরেনি সে। পরে জানা যায়, কার্তিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।’’ অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই প্রেমিকার সহ তার পরিবার বেপাত্তা। যার ফলে আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে একদিক প্রশ্ন । ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম