‘বাংলা নয়, বরং ভালো সিনেমার পাশে দাঁড়ান’ অকপট তথাগত, কারণ ‘অপরাজিত’!

।। প্রথম কলকাতা ।।
অপেক্ষার অবসান। আজ ১৩ মে মুক্তি পেলো অনীক দত্ত পরিচালিত এবং ফিরদৌসল হাসান প্রযোজিত সত্যজিৎ রায়ের জীবনীভিত্তিক ছবি ‘অপরাজিত’। মনে বাধ-ভঙ্গা উচ্ছাস থাকলেও অনেকের মনেই রয়েছে কিছুটা আক্ষেপ। সাধের ‘নন্দন’ এবং ‘রাধা’র মতো প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি স্ক্রিন না পাওয়ায় পকেটে টান ধরেছে যে তাঁদের। প্রসঙ্গত একটা বড় অংশের দর্শক ছবিটি দেখতে পারবেন না ভেবেই সকাল থেকেই চলছে তাই নিয়ে চর্চা। একই সাথে সত্যজিৎ রায়ের জীবনীভিত্তিক ছবি ‘নন্দন’ এবং ‘রাধা’র মতো সিনেমা হলে শো না পাওয়ায় একদিকে যখন ফেসবুকে সরব শ্রীলেখা মিত্র, জয়জিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকারা। ঠিক তখনই সত্যজিৎ প্রেমীদের জন্য অন্য বার্তা দিলেন তথাগত মুখার্জী।
এদিন নিজেস্ব ফেসবুক হ্যান্ডেলে কোন কোন মাল্টিপ্লেক্সে ‘অপরাজিত’ মুক্তি পাচ্ছে সেই তালিকা দিয়ে অভিনেতা লিখেছেন, “আমি এখনো ‘অপরাজিত’ দেখিনি, শুধু এটুকু বলতে পারি অনীক দা আমার দেখা একমাত্র মানুষ যার সত্যজিৎ রায় কে নিয়ে ভালবাসা কিম্বা শ্রদ্ধাটা ভড়ংবাজি নয় নিজের সিনেমার ফাটা দেওয়াল ভরাট করার। নিশ্চিত ভাবে এ সিনেমা অনীকদা বহূদিন ধরে লালন করেছেন, দেখেছেন, তৈরিও করেছেন নানাভাবে মাথার ভেতর, শুধু সিনেমাটার শুটিংটা এখন করে উঠতে পারলেন, এবং আজ হল তাঁর ফাইনালি রিলিজ। স্বাভাবিকভাবেই যে সিনেমাতে এত দীর্ঘ সময়ের ভালবাসার উপাদান মজুত তাতে একটা সততার ছাপ থাকবেই, সে সততার ছাপ ট্রেলার কিম্বা অনান্য স্থিরচিত্রে আমরা দেখেছি। অনীকদাকে কাজের ও ব্যক্তিগত সূত্রে চেনা পরিচয়ের সুবাদে জানি ওনার একটা ব্যক্তিগত সত্যজিৎময় জগতের কথা, যে জগতের দরজা খুলেই এই সিনেমার নির্মাণ, এ আমার বিশ্বাস। তাই ‘অপরাজিত’ না দেখেও বলতে পারি এ সিনেমাতে এক ধরনের বিশ্বাস থাকবে যা অনীকদার ব্যক্তিগত কিন্তু তার সততা আপনাকে নিশ্চয়ই ছোঁবে।”
একই সাথে তথাগত লিখেছেন, “বেশি সিনেমা হল কম সিনেমা হলের সমীকরন নিয়ে না ভেবে সিনেমাটা দেখে ফেলুন, যে কটি হল রয়েছে তা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হলে সব আক্ষেপ ধুয়ে মুছে যাবে। বাংলা সিনেমার পাশে না দাঁড়িয়ে ভাল সিনেমার পাশে দাঁড়ান, দেখুন, কথা বলুন, ভাল লাগলে বুক বজিয়ে দশটা লোককে যেতে বলুন, খারাপ লাগলেও সোচ্চারে বলুন, অনীকদা আপনকে ব্লক করবেন না। সৎ চেষ্টাকে সমর্থন করুন, তাহলে “অপরাজিত” নামের একটা অর্থ তৈরি হয়, আরো অনেক পরিচালকের অনেকগুলো সৎ অপরাজিতের নির্মাণ হয়। একই সাথে লিখেছেন, অনীকদা আপনি আরো বেশী করে বরুনবাবু হয়ে উঠুন, এটাই কাম্য।” একদিকে যখন সবাই তর্ক-বিতর্কের চর্চায় সামিল ঠিক তখনই তথাগতর এমন কথায় আপ্লুত সমগ্র নেটবাসী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম