বিবাদ বিড়াল নিয়ে, মহিলাকে শুনতে হল ‘ ধর্ষণের জন্য দায়ী পোশাক’

।। প্রথম কলকাতা।।
ঘটনার সূত্রপাত বাড়ির একটি পোষ্যকে নিয়ে । কিন্তু তা গিয়ে গড়ালো গৃহিণীর পোশাক পর্যন্ত । এমনকি স্পষ্ট বলে দেওয়া হল এই ধরনের পোশাক পড়লে তো ধর্ষণ হওয়া স্বাভাবিক। তাই মেয়েদের ধর্ষণের জন্য দায়ী তাদের পোশাক। এমন কটুক্তির অভিযোগে যদিও ওই গৃহিণী তাঁর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তাই নয় রীতিমতো গৃহিণীকে অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি নরেন্দ্রপুর থানার মুকুন্দপুর এর একটি হাউজিংয়ের।
সেখানে গত মঙ্গলবার এক দম্পতি নতুন আসেন। আর তারপরের দিনই প্রতিবেশীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কারণ ওই দম্পতির বিড়ালটি চলে গিয়েছিল প্রতিবেশীর ঘরে । তারপর ওই বিড়ালটিকে প্রতিবেশীরা বেধড়ক মারধর করে । যার ফলে তাদের পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই অভিযোগ জানাতেই সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রতিবেশী। তাদের দাবি বিড়ালটিকে একদমই মারধর করা হয়নি বরং বেশ খানিকক্ষণ ব্যালকনিতে বসে থাকার পর জায়গাটির নোংরা করছিল সে । তাই ওই নতুন দম্পতিকে অভিযোগ জানাতে যান প্রতিবেশী। আর তাই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
তখনকার মতন বিষয়টি সেখানেই মিটে যায়। তবে ওই দম্পতি জানায় ,বেশ কিছুক্ষণ পর হাউজিংয়ে আরও লোকজন জড়ো করে নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে ডাকা হয় ওই দম্পতিকে । তারপর নতুন দম্পতিকে ব্যাপক হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি তাদের গায়ে হাত তোলা হয়। গৃহিণী যখন এই ঘটনার ভিডিও করতে যান তখন তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয় । যখন ঝামেলা একেবারে তুঙ্গে তখনই হাউজিংয়ের এক বাসিন্দা কটুক্তি করে বসেন, এই ধরনের পোশাক পড়লে ধর্ষণের ঘটনা বাড়বে না তো কি কমবে!
এমন মন্তব্যের কারন, হাউজিংয়ের বৈঠকে তিনি একটি টি-শার্ট এবং শর্টস পড়ে এসেছিলেন । যার ফলে তাকে এমন হেনস্তার শিকার হতে হয় । রীতিমতো তাঁর পোশাক নিয়ে কটুক্তি করা হয় তাকে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তারপর এই ঘটনা অভিযোগ জানাতে নরেন্দ্রপুর থানায় গিয়ে উপস্থিত হন ওই দম্পতি। ওই গৃহিণী প্রশ্ন তোলেন, তাহলে এবার তিনি কি পোশাক পড়বেন না পড়বেন তার জন্য প্রতিবেশীদের অনুমতি নিতে হবে? যদিও এই বিষয়ে প্রতিবেশীরা পাল্টা অভিযোগ করেন, ওই গৃহিণীর পোশাক নিয়ে কিছুই বলা হয়নি । ওই দম্পতি নেশাগ্রস্থ ছিলেন। তার জন্য প্রতিবেশীদের নাম এমন বানিয়ে মিথ্যা অপবাদ আনছেন তাঁরা । সর্বোপরি প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁরা কি আদিম যুগে আছেন নাকি যে কারো পোশাক নিয়ে মন্তব্য করবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম