নববর্ষে জমিয়ে খান কলাপাতায় ! এর হাজারটা গুণ আপনাকে থ করে দেবে

।। প্রথম কলকাতা ।।
হ্যাপি নিউ ইয়ারের মত বাংলা নববর্ষে মানুষ আগের মত আর মাতামাতি করে না। তবে বাঙালির কাছে এই নববর্ষের গুরুত্ব কম নয়, হয়ত রীতি রেওয়াজে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু আজও নববর্ষ মানেই মিষ্টি বা মাংসের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। তার আগে অবশ্য রয়েছে চৈত্র সেলে কেনাকাটা। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে নববর্ষ একটি আলাদা মাত্রা পায় শুধুমাত্র নানান পদের জিভে জল আনা খাবারের কারণে। এই খাবারের সাথেই এক সময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিল কলাপাতা কিন্তু বর্তমানে সেই সবুজ পাতা চাপা পড়ে গিয়েছে চিনামাটি আর ফাইবারের পাত্রের চাপে। যদিও নানান পাতুরির রেসিপি আজো বাঁচিয়ে রেখেছে কলাপাতার ঐতিহ্যকে।
এছাড়াও অনেক রেস্টুরেন্ট বা বনেদি পরিবারের খাবারের ক্ষেত্রে কলাপাতা ব্যবহার করা হয়। অথচ একটা সময় ছিল যেখানে দৈনন্দিন জীবন থেকে বিশেষ অনুষ্ঠান পার্বণ গুলিতে খাবার পরিবেশনের জন্য একমাত্র কলাপাতাই ব্যবহার করা হত। কলাপাতায় খেলে ক্ষতির চেয়ে উপকারের মাত্রাও অনেকটা বেশি, দূর হয়ে যায় হাজারটা রোগ। কলাপাতায় কেন খাবেন জেনে নিন তার বিশেষ কিছু কারণ ।
• কলাপাতা পচনশীল হওয়ায় সহজেই মাটিতে মিশে যায়। কিন্তু অপরদিকে থার্মকল বা অন্যান্য অজৈব উপাদানে তৈরি প্লেট বা থালা একেবারেই পরিবেশ বান্ধব নয়।
• কলাপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপাদান। যা জীবানুনাশক এবং আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
• অনেকেই বলে কলাপাতায় বা পদ্মপাতায় খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কলার পাতার উপর থাকে পাতলা এক মোমের আস্তরণ। যার সুবাসে খাবারের স্বাদ অতুলনীয় হয়ে ওঠে।
• কলাপাতার থাকে ইজিসিজি অর্থাৎ এপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালাট এবং পলিফেনোল। যা অত্যন্ত আমাদের শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।
• আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত কলাপাতায় খাবার খেলে ত্বক ও বদহজমের সমস্যা থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য পর্যন্ত কমে যায়।
বর্তমানে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে কলাপাতায় খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বাজারে একটু খোঁজ নিলেই কলাপাতা স্বল্প মূল্যে পেয়ে যাবেন। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত কলাপাতায় খাবার খেতে, তাহলে দেখবেন মাসের শেষে ওষুধের খরচ অনেকটাই কমে গেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম