অভিষেক চলে যেতেই চরম অর্থ কষ্টে স্ত্রী-মেয়ে!! প্রতিবাদের সুরে কলম ধরলেন সংযুক্তা, উঠে এল আসল সত্য

।। প্রথম কলকাতা।।
গত ২৪ মার্চ ভোররাতে মারা গেছেন টলিউড অভিনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রয়ানে এখন শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। ছোট থেকে বড় পর্দা চলচ্চিত্র থেকে ধারাবাহিক সবেতেই তাঁর অসীম দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন টলিগঞ্জের এই বলিষ্ঠ অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ৫৭ বছর বয়েসেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।
তবে মৃত্যুর কিছুদিন যেতে না যেতেই তাঁকে নিয়েই টলিপাড়ায় শুরু হয়েছে নানান চর্চা। নানা রটনাও শোনা যাচ্ছে টলিপাড়ার অন্দরে। অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই নাকি চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী সংযুক্তা। আর তাঁকে সাহায্য করতেই নাকি এগিয়ে আসছেন টলিউডের প্রথম সারির কিছু অভিনেতা অভিনেত্রী। তবে এসব গুঞ্জন সংযুক্তার কানে আসতেই চুপ থাকেন নি তিনি। উগরে দিয়েছেন সমস্ত ক্ষোভ। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে সংযুক্তা লিখেছেন, “আমি সংযুক্তা। অভিষেকের স্ত্রী। সকলকে অনুরোধ করব সাইনা এবং আমাকে এই কঠিন সময়ে নিজেদের মতো থাকতে দিন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে গুজব ছড়ানো যেভাবে হচ্ছে, তার থেকে দূরে থাকার জন্যও আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি সকলকে। এই সব ভুঁয়ো গুজব দয়া করে বিশ্বাস করবেন না। অভিষেক, একজন বপড় মনের মানুষ ছিলেন, আমাদের এবং পরিবারকে ও আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রেখে গেছেন। ওর পরিবারই ছিল ওর কাছে সবকিছু। উনি নিশ্চিত করে গেছেন ওনার শারীরিক উপস্থিতি আর আমাদের সাথে না থাকলেও আমাদের কোনও আর্থিক কষ্ট ভবিষ্যতে হবে না।
অভিষেক একজন দৃঢ় নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় কখনও কারোর কাছে কোনও সাহায্যের জন্য যাননি। তাই এই সময়টাতে তাঁর মূল্যবোধকে সম্মান করাটা ভীষণ দরকারি। এছাড়াও আমি নিজে একজন আর্থিকভাবে সক্ষমমহিলা । আমি ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের ফিনটেক ফার্মে কর্মরত। তবে এই কথাটা আবারও বলছি, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের কোনও আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কেউ আমাদের কোনো আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেয়নি বা অভিষেক চ্যাটার্জির পরিবারের কোনো আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই। এগুলো একেবারেই ভুয়া খবর। এই ভুঁয়ো খবরে ওর আত্মা কষ্ট পাবে। তাই সকলকে অনুরোধ এই বিনয়ী ও মহান মানুষের আত্মাকে শ্রদ্ধা করি এবং তাকে একজন দৃঢ় নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি এবং একজন অনবদ্য চরিত্রের অধিকারী হিসেবেই মনে রাখি। এছাড়াও আমাদের এই দুঃখের সময়ে যারা অমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযুক্তার পোস্ট উঠে আসার পর তাঁর সত্যতা যাচাই করতে নবীনা সিনেমা হলের পাশে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের এপার্টমেন্ট সিটি হাইতে পৌঁছে যায় প্রথম কলকাতার প্রতিনিধি। তিনি গিয়ে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী সংযুক্তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি জানান, তাঁরা কেউই স্বজন হারানোর শোক থেকে বেরোতে পারেন নি। তাই কোন সংবাদ মাধ্যমের সাথেই তাঁরা কথা বলতে উচ্ছুক নন। পাশাপাশি জানান তাঁর এবিষয়ে যাবতীয় মন্তব্য তিনি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সোশ্যাল হ্যান্ডেলেই জানিয়ে দিয়েছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম