বিজেপির রিপোর্টে বারবার রয়েছে অনুব্রতর নাম! রয়েছে ফিরহাদের প্রসঙ্গও

|| প্রথম কলকাতা ||
রামপুরহাট গণহত্যার সত্য সন্ধান করতে বিজেপির ৫ জনের কেন্দ্রীয় টিম গঠন করা হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা জানার পর একটি রিপোর্ট তাঁরা জমা দিয়েছেন নাড্ডার কাছে। আর সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি ফের বলেছিলেন চাল চালছে বিজেপি।
বিজেপির সত্য অনুসন্ধান টিমের জমা দেওয়া রিপোর্টে নাকি আছে বীরভূমের জেলা সভাপতির নাম। আর অনুব্রতর নাম থাকা নিয়ে তীব্র নিন্দা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাফ বক্তব্য ছিল, ” রিপোর্টে তৃণমূলের জেলা সভাপতির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি চাইছে জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হোক।” রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই কাজ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
।
সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অভিযোগ আশঙ্কা একেবারেই সত্যি। বিজেপির রিপোর্টে বেশ কয়েকবার রয়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এর নাম। অনুব্রত মণ্ডল রামপুরহাট ঘটনা ঘটার পরে বলেছিলেন টিভি ফেঁটে হতে পারে এই ঘটনা। বিজেপির রিপোর্টে নাকি প্রশ্ন তোলা হয়েছে অন্য বিষয়েও, সেটি হল রামপুরহাট গিয়ে মমতা প্রশাসনিক কর্তাদের বদলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কেন? মমতা অনুব্রত কথোপকথন এবং ” মামলা সাজানো ” তত্বের কথাও তুলে ধরা হয়েছে সেখানে।
সূত্রের খবর উঠে এসেছে ফিরহাদ হাকিম এর প্রসঙ্গও। গণহত্যার ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ কর্তারা না গিয়ে সেখানে কেন গেলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী? জিজ্ঞাসা চিহ্ন রয়েছে বিজেপির রিপোর্টে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে ফিরহাদ প্রসঙ্গে আগেও বলা হয়েছে, তিনি বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাই সেখানেই গিয়েছিলেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম