প্রেমিকাকে ডেকে হাত কেটে রক্তারক্তি ! বিয়ে করতে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটালেন যুবক

।। প্রথম কলকাতা ।।
পাঁচ বছরের ভালোবাসা , কিন্তু মেনে নেয়নি দুজনের পরিবারই। তাই বিয়ে করতে এই যুবক এমন একটি কাণ্ড ঘটালো যা দেখে এলাকাবাসী রীতিমতো চমকে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। কম্পিউটার ক্লাস থেকে প্রেমিকাকে ডেকে এনে নিজের হাত কাটতে শুরু করেন যুবক। জানান বিয়ে না করলে নিজের জীবন দিয়ে দেবেন। অবশেষে প্রশাসনের সহায়তায় মন্দিরে এই যুগল বিয়ে করেন। যদিও তার মাঝে ঘটে গিয়েছে অনেক কাণ্ডকারখানা।
বাহাদুরপুর ব্লক সদরে অবস্থিত দুর্গা মন্দিরে এক প্রেমিক যুগলের বিয়ে হয়। ছেলের জেদের সামনে দুই পরিবারের লোকজন পুলিশের উপস্থিতিতে বিয়ে করাতে রাজি হয়। পুরো ঘটনাটি গত সোমবারের। সেই বিয়ের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ইনচার্জ এসএইচও রবীন্দ্র প্রসাদ জানান, উভয়ের পরিবারের সম্মতিতেই এটি করা হয়েছে।
दरभंगा का 'फिल्मी' छोरा!प्रेमिका को क्लास से बुलाकर पहले पूछा- शादी करोगी और काट ली नस.सोमवार को प्रेमी युगल की मंदिर में शादी कराई गई.प्रभारी एसएचओ ने दोनों परिवार की सहमित के बाद शादी करवाई. पांच साल से दोनों एक साथ जीने और मरने की कसमें खा रहे थे.तुलसी झा की रिपोर्ट. pic.twitter.com/sGBgEW4qfq
— Prakash Kumar (@kumarprakash4u) March 30, 2022
যুবক শচীন সবসময় তার বান্ধবীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। বিয়েতে বাধা দেখে সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বাহাদুরপুর ব্লক সদরে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রে যান শচীন। এখানে তার বান্ধবী অঞ্জনা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন। বান্ধবীকে ক্লাস থেকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন তিনি যদি বিয়ে না করেন তাহলে নিজের জীবন দিয়ে দেবে শুধু তাই নয় একটি ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা করতে শুরু করেন।
প্রেমিককে থামাতে গিয়ে অঞ্জনার দুটি আঙ্গুল কেটে যায়, রীতিমতো রক্তারক্তি কাণ্ড। দ্রুত তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ততক্ষণে চলে এসেছে দুই পরিবারের সদস্য। তারপর উভয় পরিবারের মত নিয়ে ওই রাতেই দুর্গামন্দিরে দুজনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বহু গ্রামবাসী। এই ঘটনাকে বহু নেটিজেন সিনেমার সঙ্গে তুলনা। আবার অনেকে বলছেন , ভালোবাসার মধ্যে নাকি কোন ভয় থাকে না তাই মানুষ যে কোন কাজ করতে পারেন। এই যুগলের বিয়ের ভিডিও এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ার নানান প্ল্যাটফর্মে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম