দ্বিতীয়বারে দেওরের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান বৌদির, আত্মহত্যা যুবকের

।। প্রথম কলকাতা।।
দেওরের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বৌদির। সেই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হতেই বছর দুই আগে সেই সম্পর্কের ইতি টানেন বৌদি। তারপরে দুজনে দুজনের জীবনে নিজেদের মতো করে দিন কাটাতে থাকেন। মাসখানেক আগে ফের পরিবারের তরফ থেকে প্রেমের প্রস্তাব আসে বৌদির কাছে। কিন্তু এখন বৌদি নিজের সংসারে মন দিয়েছেন। তাই দেওরের প্রেমের প্রস্তাব এককথায় প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। আর সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে অবশেষে অভিমানে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নিল দেওর।
এই ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত ঘুটিয়াবাজার এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা এক তরুণের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে বিবাহ হয় ওই তরুণীর। তাদের বিবাহের বেশ কিছুদিন পরে স্বামীর মাসতুতো ভাই চন্দন দাস এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই গৃহবধূর। বিবাহবহির্ভূত এই সম্পর্ককে নিয়ে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয় পরিবারের মধ্যে। যার ফলে ওই গৃহবধূ নিজেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তাদের দেখা-সাক্ষাৎও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায় ,বেশ কয়েকমাস আগে থেকে ফের বৌদির বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে চন্দন। আর তারপরেই পুনরায় প্রেমের প্রস্তাব দেয় তাকে। কিন্তু ওই তরুণী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয় সে এখন সংসারী হয়েছে, কাজেই ওই পথে আর পা বাড়াবে না সে।এই প্রেমের প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে পারেনি দেওর । তাই চলতি মাসের ২৪ তারিখে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে । এমনকি দেওরের মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্য অংশ নিয়েছিলেন বৌদি।
তবে দেওরের মৃত্যুর পরেও এই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে নি। তার মৃত্যুর ৫ দিন পরে মৃত চন্দনের পরিবার ওই গৃহবধূর বাড়িতে এসে চড়াও হয় । তাকে বাড়ি থেকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় ,চুল কেটে নেওয়া হয়, এমনকি সারা গায়ে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি তাঁর স্বামীকে ধরেও ব্যাপক মারধর করে চন্দনের পরিবারের লোকেরা। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় এই ঘটনার কথা জানিয়ে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই গৃহবধূর পরিজনেরা। যদিও এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম