অগ্নিমূল্য পেট্রোল-ডিজেল! হাইড্রোজেন গাড়ি করে সংসদে গেলেন নীতিন গড়করি

।। প্রথম কলকাতা ।।
হু হু করে বাড়ছে পেট্রোপণ্যের দাম। অগ্নিমূল্য বাজারে যাতায়াত খরচ তুলতেই কালঘাম ছুটে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায় দেখালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। হাইড্রোজেন চালিত ‘Toyota Mirai’ গাড়িতে চেপে পৌঁছে গেলেন সংসদ। বললেন, “সবুজ হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি দেশের ভবিষৎ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে অন্যতম একটি বড় পদক্ষেপ এটি। পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি দূষণ সৃষ্টি করে যা এই গাড়ি করে না।”
ভারতে ক্রমাগত চাহিদা বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির। এই গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহ জোগাচ্ছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারও। তবে হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় কিছুটা আলাদা। নীতিন গড়করি যে গাড়িটি চেপে সংসদে গেলেন সেটি Toyota এর নতুন সৃষ্টি হাইড্রোজেন পাওয়ার্ড Mirai। এই গাড়ি কিছুদিন আগে তিনি নিজেই উদ্বোধন করেছিলেন। এর আগে একাধিক বক্তৃতায় তিনি পেট্রোল-ডিজেলের বিকল্প গাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনিও এও বলেছিলেন, আমাকে দিল্লির রাস্তায় হাইড্রোজেন চালিত গাড়িতে দেখতে পাবেন।
হাইড্রোজেন চালিত গাড়িকে সাধারণত বলা হয় ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকেল (FCEV)। Toyota Mirai এ অন-বোর্ড বৈদ্যুতিক মোটর পাওয়ারের জন্য হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। FCEVs মূলত হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে একত্রিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা মোটর চালায়। যেহেতু এগুলি সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুত দ্বারা চালিত হয়, তাই FCEV গুলিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসাবেই বিবেচনা করা হয়।
এটির অন্যতম বৈশিষ্ট হল সাধারণ BEV (ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকেল) গাড়িতে যেখানে চার্জ হতে ৩০-৪৫ মিনিট সময় লাগে সেখানে এই গাড়ি মাত্র পাঁচ মিনিটের রিফুয়েলিংয়ের সময় নেয়। এছাড়াও প্রতি ইউনিট ভলিউম এবং ওজনে প্রায় পাঁচগুণ ভাল শক্তি সঞ্চয় করা যায় যা দূর ভ্রমণের জন্য সাহায্য করে। এই গাড়ির ট্যাংক একবার ফুল হয়ে গেলে ৬০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি রেঞ্জ দিতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম