করোনাকালে এই বদ অভ্যাস গুলি অবশ্যই ছাড়ুন ! না হলে মহাবিপদ, বারোটা বাজবে মস্তিষ্কের

।। প্রথম কলকাতা ।।
বর্তমানে ব্যস্ত জীবনের মাঝে নিজেদের দিকে খেয়াল রাখার অনেকেই সময় পান না। সারাদিনের নানান কাজের ব্যস্ততার মধ্যে নিয়ম মেনে শরীর স্বাস্থ্য বজায় রাখা বহু মানুষের কাছেই কঠিন হয়ে পড়ে। তার উপর চলছে করোনা আবহ যার কারণে ইতিমধ্যেই যারা সংক্রমিত হয়েছিলেন তাদের পরবর্তী কালে দেখা দিচ্ছে নানান সমস্যা। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটু স্বাস্থ্যসচেতন না হন এবং বিশেষ কিছু নিয়ম না মানেন তাহলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। আজকের প্রতিবেদনে জানবেন এমন কিছু অভ্যাসের কথা যেগুলির কারণে আপনার মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
সকালে খাবার না খাওয়া
সাধারণত অনেক মানুষ খুব সকালে খাবার না খেয়ে কাজে চলে যান। কিন্তু এর ফলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। যার কারণে মস্তিষ্কে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পৌঁছাতে পারে না। এমতাবস্থায় মস্তিষ্কের বিকাশে নানান বাধা আসে।
বেশি পরিমাণে চিনি খাওয়া
বেশিরভাগ মানুষই মিষ্টি পছন্দ করেন। অনেকেই আবার মিষ্টি জিনিস বেশি পরিমাণে খান। কিন্তু এভাবে খুব বেশি চিনি খাওয়া মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলে। এ কারণে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি স্থূলতা, ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হয়।
পরিশ্রম না করা
ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকার কারণে মনটা অলস হতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি মানসিক চাপে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপশি মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হয় না। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার প্রতিদিন ৩০ মিনিট খোলা বাতাসে যোগব্যায়াম বা ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এটি আপনার মনকে শান্ত করবে। মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী।
ধূমপান
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান মস্তিষ্কের যে কোনো রোগ যেমন আলঝেইমারস, ডিমেনশিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে ধূমপান না করাই ভালো।
পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের শরীর ভেতর থেকে মেরামত হয়। মস্তিষ্ককে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতা কমাতে পারে। কিন্তু বিপরীতে ঘুমের অভাবে ব্যক্তি সারাদিন অলস, ক্লান্ত এবং দুর্বল থাকেন। এমতাবস্থায় কাজ করতেও সমস্যায় পড়তে হয়। যার কারণে মস্তিষ্ক ও হার্ট সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই রাতে ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম