কুপিয়ে খুন করেই আগুন, তদন্তে উঠে আসা ধারালো অস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য মিহিলালের

।। প্রথম কলকাতা।।
বগতুই গ্রামে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এককথায় বলা যায় নৃশংস। সোনা শেখের বাড়িতে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অনেকের অভিযোগ, করেছেন প্রথমে কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এরপর বাইরে থেকে শিকল দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় হাসুয়া সহ বেশকিছু ধারালো অস্ত্র। যা থেকে এই অনুমান আরও স্পষ্ট হয়। সোনা শেখের বাড়িতে পাওয়া ধারালো অস্ত্র প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন মিহিলাল শেখ।
মিহিলাল শেখ জানালেন, এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করার জন্যই তারা নিয়ে গেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল খুন করা। খুন করে পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল বাড়ির ভিতরে। তাই হয়তো তারা সাবল, হাসুলি এসব ব্যাবহার করেছে। তারা হয়তো প্রথমে কুপিয়ে খুন করেছে। তারপর বাড়িতে সবাইকে ঘরে নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। খুন করেছে ও পুড়িয়ে মেরেছে, এটা তো বাস্তব। ভেতরে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা? সেটা তদন্ত হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটার তদন্ত করবেন অফিসারেরা।
মিহিলাল শেখ আরও জানালেন, খুন অবশ্যই করেছে। ভেতর থেকে যখন মানুষগুলোকে মেরে ফেলা হয়। তখন তিনি বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পেয়েছেন। কী অস্ত্র ব্যবহার করেছিল? তা তিনি দেখেননি। তিনি তাদের কাছে ছিলেন না। তাহলে তিনিও মারা পড়তেন। তবে, নিশ্চয়ই তারা কিছু ব্যবহার করেছে। কুপিয়ে খুন করেছে। পুড়িয়ে মেরেছে। এখন বোঝা যাচ্ছে একটা ঘরে আটকে দিয়ে মেরে ফেলেছে। এই সমস্ত অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। তারপর পুড়িয়েছে।
আবার বাতাসপুরে স্বজনহারাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মিহিলাল শেখের আত্মীয় জহুরা বিবি। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেন চিকিৎসক। তিনি জানান, তিনি বাঁচবেন কিনা? সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তিনি। জহুরা বিবি জানালেন, তাঁর ভুখ নেই। তাঁর শরীর দুর্বল। তিনি কিছু খেতে পারছেন না। খেতে ইচ্ছে করে না। পায়ে ব্যাথা। ঘুম প্রায় হয় না। তাঁকে দেখার পর চিকিৎসক মহম্মদ সাহিদ আলী জানালেন, জহুরা বিবির ব্লাড প্রেসার আছে, সুগার আছে, টেনসনে ঘুম আসছে না, হাঁটুতে ব্যথা আছে। তিনি অসুস্থ আছেন বলেই, তাঁকে দেখতে এসেছিলেন তিনি। তবে, তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। সাঁইথিয়ার ব্লক হসপিটাল থেকে তাঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম