কুকুরের কামড়ে মহিষের মৃত্যু ! হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়ে গ্রামের মানুষ ছুটলেন ভ্যাকসিন নিতে

।। প্রথম কলকাতা ।।
সামান্য ঘটনা থেকে কোথা থেকে যে কি হতে পারে তা আগাম বলা যায় না । কুকুরের কামড়ে এক মহিষের মৃত্যু আর তাতেই রীতিমতো আতঙ্কে কাঁপছে পুরো গ্রাম। কারণ ততদিনে ওই মহিষের দুধ থেকে তৈরি দই গ্রামের প্রতি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। আতঙ্কে বহু মানুষের রাতের ঘুম উড়েছে তারপর ওই গ্রামের মানুষ দলে দলে এখন ছুটছেন অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন নিতে।
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের কাছের একটি ছোট শহরের বাসিন্দাদের বৃহস্পতিবার একটি হাসপাতালে ছুটে যেতে দেখা গেছে। আসলে ওই ব্যক্তিরা কুকুরের কামড়ে একটি মহিষের মৃত্যুর খবর শুনে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন৷ মৃত মহিষের দুধ থেকে তৈরি দই খাওয়ার পরে তারা ছুটে যান গোয়ালিয়র থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ডাবরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
হাসপাতালের কর্মীরা জানতে পারে যে একটি মহিষ এবং তার বাছুরটি একটি উন্মত্ত বিপথগামী কুকুরের কামড়ে মারা গেছে। এটি গ্রামবাসীর মনে ভয় সৃষ্টি করে যখন তারা জানতে পারেন যে, একদিন আগে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যে রায়তা খেয়েছিলেন তা মৃত মহিষের দই থেকে তৈরি ।
শুধু তাই নয় ওই একই দিন একই মহিষের দুধও অনেক বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন যে ওই মহিষ যখন মারা যায় তখন কিন্তু ঘটনাটিকে গ্রামবাসী স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলেন। হঠাৎ যখন জানাজানি হয় যে কুকুরের কামড়ে মহিষের মৃত্যু হয়েছে তখনই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কারণ একবার যদি জলাতঙ্ক হয়ে যায় তাহলে আর নিস্তার নেই।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সাথে সাথে গোয়ালিয়র মেডিকেল কলেজ এবং সংক্রামক রোগ কেন্দ্রের ডাবরাতে ছুটে যেতে হয়েছিল। জলাতঙ্ক ইনজেকশনের উচ্চ চাহিদার সাথে, পিএইচসি-তেও অ্যান্টি-রেবিস স্টক শেষ হয়ে যায়। ডাবরা ব্লক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ অরবিন্দ শর্মা জানিয়েছেন, WHO ২০১৮ সালে নির্দেশিকা জারি করেছিল যে উন্মত্ত প্রাণীর দুধ বা এমনকি দুধের পণ্য খাওয়া ফলে জলাতঙ্ক ছড়ায় না। কিন্তু এই কথাতে একেবারেই আশ্বস্ত হতে পারেননি প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম