‘বেইমানি করা প্রতি গাদ্দারদের সঙ্গে এমনটাই হওয়া উচিত’, সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু

।। প্রথম কলকাতা ।।
বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপিতে ফিরে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরেই তৃণমূলেই আছি বলে দাবি করেন সুনীল মণ্ডল। কিন্তু কোথাও হলেও তিনি কর্মীদের মন ভোলাতে পারেননি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় গিয়ে কার্যত ঘাড় ধাক্কা খেলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল ।তাকে ঘিরে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান । এই বিষয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি পোস্ট করেছেন। দেবাংশু লিখেছেন,
‘সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে এলাকায় যাওয়া মাত্রই খেদিয়ে দিচ্ছেন বর্ধমানের লোকজন।ইনি তিনি যিনি মুখে কম্বল জড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এখন উনি কোন দলে আছেন জানি না। দল গ্রহণ করবে কিনা তাও জানি না।তবে একুশের লড়াইতে বেইমানীর বিরুদ্ধে এবং আদর্শের সঙ্গে থাকা হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মতই একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে মনে করি এবং প্রতিটি জেলায় প্রতিটি বিধানসভায় প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রতিবাদে এমনটাই হওয়া উচিত। এরা আজ আছে কিন্তু আগামীতে আবার টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আবার পালাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন আজীবন মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। তৃণমূল কংগ্রেসের হাজার হাজার কর্মীরাই চেষ্টায় দিনরাত এক করে ফেলেন। খুনের হুমকির মুখে দাঁড়ান, দিলীপ ঘোষের অনাথ করে দেওয়া থ্রেট শোনেন, তারপরেও লড়াই থামান না।
তাই যে জঞ্জাল হাওয়ায় উড়ে নিজে থেকে বাইরে বেরিয়ে গেছে সেটা আবার উল্টো হওয়ায় ঘরে ঢুকতে চাইলে ঘরের সদস্যরা ঝাঁটা হাতে তুলে দাঁড়াবেন না কেন বলুন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেদিন পায়ের চোট আমরা কেউ ভুলিনি। আর সেই সময় কারা তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গ করেছিলেন সেটাও ভুলিনি। মা ক্ষমাশীল হতে পারেন এটা মায়ের ধর্ম। কিন্তু মাতৃভক্ত সন্তানদেরও সমান ক্ষমাশীল হতে হবে এমন নিদান কোথাও দেওয়া নেই।’ অনেকেই কমেন্ট করেছেন তার পোস্টটিতে। একজন লিখেছেন ,এক মত তোমার প্রতিটি কথার সঙ্গে। বহু বহু কর্মীর সদস্য সমর্থকদের মনের কথা বলছো। আবার একজন লিখেছেন, দলের কর্মীরা ওনাকে খেদাচ্ছে কয়েকদিন পর দেখবেন দলের নেতারা ওনাকে টিকিট দেবে ভোটে লড়ার জন্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম