‘তৃণমূলের অগ্রগতিতে বিজেপি-কংগ্রেসের সুর মাঝে মধ্যে এক হয়ে যাচ্ছে’, ব্যাখ্যা দিলেন কুণাল

।। প্রথম কলকাতা ।।
গোয়ায় নেতা কিনতে তৃণমূল টাকা ছড়িয়েছে এমনই কটাক্ষ করেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এই বিষয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন,
‘তৃণমূলকে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। বিজেপি নেতারা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক অপরিণত বুদ্ধির আক্রমণ চালাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাদের কাদের নিয়েছিলেন কিসের বিনিময়ে নিয়েছিলেন জানা আছে।’ আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন ,’বিজেপিতে টাকার খেলা চলে তা তৃণমূলকে বলতে হচ্ছে না তথাগত রায় বলেছেন কামিনী কাঞ্চন নিয়ে দল চলে।
গোয়া নিয়ে কে কি বলছেন বিচার্য বিষয় নেই। কিছু কিছু জায়গায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের সুর এক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে চাইছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কোথাও কোথাও বিজেপি এবং কংগ্রেস নেতাদের সুর এক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ মনে করছেন বিজেপি সরকার চলে না। তবে কংগ্রেস এর ব্যর্থতার কারণেই বিজেপি থাকতে পেরেছে গোয়ায়। তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা করছে বিজেপির গায়ে লাগছে কংগ্রেসের গায়ে লাগছে। এগুলো ভিত্তিহীন প্রচার। বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় রয়েছেন। কংগ্রেসের নীতি আমি পারব না আমি কাউকে করতেও দেব না।
ক্যাডার রুলস সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী এমনই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন।এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ পেছনের দরজা দিয়ে যাতে নাক গলানো যায় তার চেষ্টা করছে বিজেপি।এটা একটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বিষয়।কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবার চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। রাজ্যের এক্তিয়ারে নাক গলানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র।’ ১৬৭ অনুষদের অধীনে সাংবিধানিক কর্তব্য উপেক্ষা করা হয়েছে যে কোন তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য। আজ এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, ‘রাজ্যপাল যেভাবে নিয়মিতভাবে তলব করছেন চিঠি দিচ্ছেন এটা তার এক্তিয়ার বহির্ভূত। তিনি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির ভূমিকা পালন করছেন। বিজেপির দূতের ভূমিকা পালন করছেন রাজ্যপাল।’ বিজেপিতে মুসল পর্ব চলছে। এর আগে থেকেই আদি বিজেপি বনাম তৎকাল বিজেপির দ্বন্দ্ব চলছে। বিজেপি একটু আলাদা দল। কোনো নীতি নেই। ক্ষমতার লড়াই পদের লড়াইতে রয়েছে। বিজেপিতে সংকট চলছে। পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আইনজীবী নিয়োগ হাস্যকর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম