রাস্তা থেকে মাঠ পুরো সাদা হয়ে রয়েছে, এ যেন বরফে মোড়া সিকিম বা সিমলা কুলু মানালি। খড়্গপুরে এত বরফ পড়তে পারে তা নিজে না দেখলে বিশ্বাসই করবেন না। সুন্দরবন সাদা হয়ে গেল পাহাড়ে যেতে হবে না। কলকাতার কাছেই এখন বরফ পরছে যে! আপনার এলাকাতেও কি এরকম তুষারপাত হতে পারে?
কী বলছে হাওয়া অফিস?
খড়গপুর আইআইট চত্বরেও পুরু সাদা আস্তরণ দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন বরফ পড়েছে! আসলে সেটি ছিল জমে থাকা শিলার স্তূপ। দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে তার সাথে পড়ছে শিলা।ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ফলে খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাস, রেললাইন ও আশপাশের রাস্তাঘাটে পুরু সাদা আস্তরণ পড়ে যায়। অনেকেই ভেবেছিলেন, খড়গপুরে বোধহয় বরফ পড়েছে! সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। তবে বাস্তবে এটি বরফ ছিল না, বরং অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টির ফলে তৈরি হওয়া বরফের স্তূপ, যা ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে জমাট বেঁধে গিয়েছিল।
শুধু খড়গপুর না ।বরফের টুকরোয় সাদা বসিরহাটের রাস্তা! হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড সীমান্ত থেকে সুন্দরবন।তুমুল শিলাবৃষ্টি। তার দাপটে টুপটাপ শব্দ চলছে যেমন, ঠিক তেমনই বাড়ির উঠোন কিংবা রাস্তা যেন বরফের চাঁদোয়ায় ঢেকে গেল। কয়েক মিনিটের শিলা বর্ষণে সাদা হয়ে যায় রাজপথ, দালানের ছাদ, কার্নিশ।
শীত বিদায়ের পর থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মেনে ইতিমধ্যেই জেলায়-জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া।ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা-হলুদ সতর্কতা। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বাঁকুড়া-বর্ধমান জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়-বজ্রপাতের আশঙ্কা। রবিবার পর্যন্ত এই আবহাওয়াই বজায় থাকবে।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং-এর উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে সোমবার পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে।
শুক্রবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বইবে। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও নদিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।