কালিম্পং শহর থেকে কিছুটা দূরে ছোট্ট এক পাহাড়ি গ্রাম পানবুদারা। যারা কাঞ্চনজঙ্ঘার টানে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যান
তাদের জন্য আদর্শ ঠিকানা এটি। উপরে যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা, নিচে তিস্তা; ভিউ দেখলে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছা করবে না
উত্তরবঙ্গের আরেক অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজে আমরা আজ প্রথম কলকাতা।
পানবুদারা থেকে যে রূপ দেখা পাবেন তা বাকি সব জায়গার থেকে আলাদা ।যদিও তিস্তার রূপের সাক্ষী থাকতেই পর্যটকরা ভিড় জমান পানবুদারায়। অনেকেই নদীর তীরে বসে সময় কাটিয়ে দেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখানে একই ফ্রেমে ধরা পড়ে সেভকের রেল ব্রিজ আর করোনেশন ব্রিজ। তাই পানবুদারা ভিউ পয়েন্টকে মিস করতে চান না কোনও পর্যটক। ভিউ পয়েন্টে এসে দাঁড়ালে পাওয়া যায় ঠিক স্বর্গের মাঝখানে দাঁড়ানোর অনুভূতি।
আর এই মায়াময় সৌন্দর্য একেবারে কাছ থেকে পেতে হলে দুটো দিন থাকতেই হবে এখানে। হোমস্টের বিছানায় শুয়ে বড় বড় কাচের জানালা দিয়ে চোখের সামনে একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর অন্যদিকে তিস্তা নদীর মনোরম দৃশ্য । উফ মজাটাই আলাদা। ভোরবেলায় পাখির কিচিরমিচির ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। কফিতে চুমুক দিয়ে বেরিয়ে পড়া যায়। পায়ে হেঁটে ঘুরে আসা যায় আশেপাশে। একা নয়, যেতে হবে দলবেঁধে। তবে গোল করা যাবে না। মাতা যাবে না খোশগল্পে। নির্জন নিরিবিলি পাহাড়ি পরিবেশ উপভোগ করতে হবে চুপচাপ। শান্ত ভাবে। জঙ্গলে চোখে পড়ে রকমারি ফুল। নানা রঙের। কিছু চেনা, কিছু অচেনা।
পানবুদারার আশেপাশে আছে বেশকিছু বেড়ানোর জায়গা। তার মধ্যে অন্যতম চারখোল। অফবিট ডেস্টিনেশন। প্রায় ৩৫০০ ফুট উচ্চতায় পাইন, সাইপ্রাস, ওক, শাক, গুরাস আর বরফঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা ।পানবুদারার কাছেই রয়েছে ইয়ামাখুম। এখান থেকেও মুখোমুখি হওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার। শহরের কোলাহল থেকে যদি দূরে কোথাও কাটাতে চান
এর থেকে ভালো অপশন আর হয় না।
শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুদারা যাওয়া যায়। দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিলোমিটার। পথে রেলিখোলাটা দেখে যেতে পারেন। আবার অন্যপথে কালীঝোরা হয়ে পানবুদারা যেতে গেলে দূরত্ব কিছুটা কমবে। তবে কালীঝোরা হয়ে যেতে গেলে রাস্তা বেশ খাড়াই। এখানকার প্রাকৃতিক রূপও অসাধারণ।
এখানে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। দিন দিন আরো সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে।সাথে স্থানীয় সুস্বাদু খাবার । স্থানীয়দের আন্তরিকতায় আপনি ঠিক বাড়ির মতোই অনুভব করবেন। আর যদি একটু ঘোরা ঘুরি করতে চান তবে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসুন ।