স্মার্টফোন হাতে আসতেই ফেলে দিচ্ছেন কিপ্যাড ফোন? সামান্য খারাপ হয়ে গেলেই আর সেই ফোন ব্যবহার করছেন না!
জানেন পুরনো ফোন থেকেই আপনি হতে পারেন লাখপতি? হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে সম্ভব এটা। আসলে পুরনো ফোন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা! কীভাবে?
চলুন বিস্তারিত জেনে নেই প্রথম কলকাতার এই প্রতিবেদনে।
একটা সময় ছিল যখন বাড়ির রোজগেরে সদস্যের কাছে থাকতো কিপ্যাড ফোন। অনেকের কাছে আবার সেটাও থাকত না। কিন্তু বর্তমানে সময় বদলেছে, আজকাল বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের কাছেই রয়েছে স্মার্টফোন। আর স্মার্টফোনের এই জামানায় ব্রাত্য কিপ্যাড ফোন। অনেকেই সেই ফোন বাড়িতে সাজিয়ে রেখেছেন, অনেকে আবার তা ফেলে দিচ্ছেন ডাস্টবিনে। এমনকি স্মার্টফোন সামান্য খারাপ হয়ে গেলেই তা অনেকেই ফেলে দেন। তবে জানেন কী, আপনি চাইলেই এই পুরনো ফোন থেকে হতে পারবেন লাখপতি। হ্যাঁ একেবারে ঠিকই শুনেছেন। আসলে কি বলুন তো, এই পুরনো ফোন থেকে আপনি সহজেই সোনা বের করতে পারবেন। আজকের এই ভিডিওতে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আমরা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
শুনলে অবাক হবেন, যে কোনো মোবাইল ফোন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সোনা। শুধু সোনাই নয়, রুপো, তামাও লাগে মোবাইল ফোন তৈরির ক্ষেত্রে। সোনা বিদ্যুতের সুপরিবাহী। সেই সঙ্গে এর ক্ষয় হয় না, মরচে ধরে না। এই কারণেই মোবাইল ফোনের ইন্টিগ্রেটেড সারকিট তথা আইসি বোর্ডের ছোট্ট কানেক্টারগুলিতে সোনা ব্যবহৃত হয়। এটা ঠিক যে খুবই সামান্য সোনা থাকে। কিন্তু অনেক বাতিল ফোন থেকে অনেক সামান্য মিলে বড় পরিমাণে সোনা সংগ্রহ হয়। আর তা দিতে চলে কোটি কোটি টাকার কারবার।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারি সব ফোনে কী একই পরিমাণে সোনা থাকে? না তা কিন্তু থাকে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সাধারণ ফোনে যে পরিমাণ সোনা থাকে স্মার্টফোনে থাকে তার থেকে কিছুটা বেশি। আবার স্মার্টফোনের তুলনায় আইফোনে সোনার পরিমাণ আরও কিছুটা বেশি থাকে। হিসেব বলছে, এক একটি ফোনে ৩৪ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোনা থাকে। একটি ফোনের হিসেবে সোনার পরিমাণ সামান্যই। কিন্তু এখন যে হারে বর্জ্য মোবাইলের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সংগৃহীত সোনার পরিমাণ অনেক। আবর্জনা থেকে সোনার মতো দামী ধাতু বের করার ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। সেখানে টন টন আবর্জনা থেকে এক গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। সেখানে একটি হিসেব বলছে, ৪১টি মোবাইল ফোন থেকেই ১ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। ভারতীয় মুদ্রায় এখন যার গড় মুল্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। ওই হিসেবেই দেখা গিয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর বাতিল মোবাইল ফোন থেকে চার হাজার কোটি টাকার সোনা পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোনে সোনা ব্যবহারের প্রধান কারণ এই ধাতু ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী। সোনা ছাড়া আর দুই ধাতু বিদ্যুতের সুপরিবাহী। রুপো এবং তামা। ফোনে সোনার কানেকটরগুলি ডিজিটাল ডাটা দ্রুত এবং যথাযথ স্থানান্তর করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। মোবাইল ফোনের মতো, সোনা কম্পিউটার ও ল্যাপটপের আইসিগুলিতেও ব্যবহৃত হয়। আর এই ভাবেই বাতিল মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি দিয়ে চলে বড় আর্থিক অঙ্কের কারবার।