মুহূর্তের মধ্যেই জিতে নিতে পারেন নামিদামি কেস। পারিশ্রমিক নেন গুনে গুনে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা! ইনি হলেন দেশের সবচেয়ে দামি উকিল।
কথায় বলে, উকিল আর ডাক্তারের কাছে কিছু গোপন করতে নেই। কারণ, আপনি যদি কিছু গোপন করেন তাহলে তাঁরা আপনাকে বাঁচাতে পারবেন না। আর কোন আইনজিবী তাঁর মক্কেলকে কতটা ‘বাঁচাতে’ পারেন তার ভিত্তিতেই বলা হয় সেই আইনজিবী কতটা সফল। যিনি যত বেশী হারে মক্কেলদের পছন্দের বিচার এনে দিতে পারবেন তিনি ততটাই সফল আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাঁর দক্ষিণা। হ্যাঁ আজকের এই ভিডিওতে আমরা দেশের সবচেয়ে দামি উকিল সম্পর্কে করব আলোচনা। যাদের কাছে কেস জেতা যেন হাতের মোয়া। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এক সমীক্ষার রিপোর্ট। আর সেখান থেকেই জানা গেছে দেশের সবচেয়ে নামিদামি উকিলদের তালিকা। বলা ভালো দেশের সবচেয়ে দামি উকিলদের তালিকা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
ফলি এস নারিম্যান- এই দুঁদে আইনজীবীর সংবিধান বিষয়ক জ্ঞান অপরিসীম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে মামলা লড়ে ইনি প্রভুত খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রতিটি ‘হিয়ারিং’-এর জন্য ইনি ৮ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। নারিম্যান সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে মামলায় ভারত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি সাংবিধানিক সংশোধনী সংক্রান্ত যুগান্তকারী মামলাগুলিতেও জড়িত ছিলেন, যা তাকে সাংবিধানিক আইনের বিষয়ে একজন গো-টু কাউন্সেল বানিয়েছে।
হরিশ সালভে- হরিশ সালভে একজন স্বনামধন্য ‘কর্পোরেট ল’ইয়ার’। তাঁর লড়া দূরদর্শনের সম্প্রচার সত্ত্ব ও আম্বানী ভাইদের গ্যাস মামলা দুটি ঐতিহাসিক। চূড়ান্ত সফল এই আইনজীবী প্রতি সিটিংয়ে ১২-১৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তিনি ১ নভেম্বর ১৯৯৯ থেকে ৩ নভেম্বর ২০০২ সাল পর্যন্ত ভারতের সলিসিটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে কুলভূষণ যাদবের মামলাও লড়েছিলেন। তাও মাত্র এক টাকার বিনিময়ে।
মুকুল রোহতগি- এই আইনজীবী বিখ্যাত তাঁর লড়া মামলাগুলিতে ৯০ শতাংশ সাফল্যের জন্য। ইনি মূলতঃ শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক মামলা লড়ে থাকেন। ইনি এক একটি সিটিংয়ে ১০-১২ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের মাদক মামলাও লড়েছিলেন তিনি।
অভিষেক মনু সিংভি- দেশের সেরা আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম জাতীয় কংগ্রেসের এই সদস্য। তাঁর লড়া ‘জাতীয় পতাকা মামলা’ আইনের ইতিহাসে এক মাইল ফলক। বলা হয়, সিংভির সাফল্যের হার ১০০ শতাংশ। ইনিও প্রতি সিটিংয়ে ৮-১০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
রাম জেঠমালানি- এই নামটির শোনেননি এমন ভারতীয় পাওয়া দুষ্কর। খ্যাতির শীর্ষে থাকা এই প্রবীন আইনজ্ঞকেই দেশের সবচেয়ে দামি উকিল মনে করা হয়। রাজনৈতিক বা কর্পোরেট মামলা সবেতেই তাঁর অনায়াস যাতায়াত। ইনি একেকটি সিটিংএ ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
কপিল সিব্বল- ভারতীয় রাজনীতির আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং একজন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল। আইনি ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত সম্মানিত একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর তীক্ষ্ণ আইনি লড়াইয়ের জন্য পরিচিত। সিব্বাল সাধারণত সাংবিধানিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মামলা লড়ে থাকেন। তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতা তাঁকে অনেকের থেকে এগিয়ে রেখেছে। এক একটি সিটিংয়ের জন্য তিনি ৮-১০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।